হাবিবুর রহমান, রবি প্রতিনিধি: পঞ্চম মার্কেটিং ডে উদযাপন উপলক্ষ্যে ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, শুক্রবার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের মিলনায়তনে দিনব্যাপী একাধিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। “প্রিপেয়ারিং দ্য ফিউচার মার্কেটার্স ফর এ ডিজিটাল, সাসটেইন্যাবল অ্যান্ড ট্র্যান্সফরমিং ওয়ার্ল্ড” শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান (মার্কেটিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), প্রফেসর ড. রিদওয়ানুল হক (আইবিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ও প্রফেসর ড. রাফিউদ্দিন আহমেদ, (সহযোগী অধ্যাপক, মার্কেটিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য মহোদয় তথ্যপ্রযুক্তিতে অগ্রসর ও পরিবর্তমান বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মার্কেটিং-এ বিশেষায়িত শিক্ষার প্রবর্তন অত্যাবশক। তিনি বলেন, আমরা লক্ষ করছি বিশ্বে মার্কেটিংয়ের পরিবেশ, প্রক্রিয়া ও চাহিদায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। এর কারণ ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে প্রযুক্তি ধীরে ধীরে মানুষের জায়গা দখল করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইআরপি, ই-কমার্স, এম-কমার্স, ইন্টারনেট মার্কেটিং, ক্রিপটোকারেন্সি, ব্লকচেইন, মার্কটেক প্রভৃতির ব্যাপক প্রচলনে খাপ খাওয়াতে না পেরে বহু কর্মী প্রতিষ্ঠানের জন্য বোঝা হয়ে পড়ছেন। একই কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষাদানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকে পিছিয়ে পড়ছেন।

তিনি আরও বলেন, একজন মার্কেটারের কাজ ভোক্তাকে পণ্য সম্বন্ধে অবগত করা, উপযোগিতা বোঝানো এবং পণ্য বিক্রয় করা। একজন ব্যাক্তি কোনো প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগে নিযুক্ত হওয়ার পরপরই তিনি পণ্য বিক্রয় করবেন- এমন আশা করা হয়। কোনো রকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই এই প্রত্যাশা কতটা যৌক্তিক, তা ভেবে দেখবার বিষয়। তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং পড়ানো হয়, তাদের দায়িত্ব এমনভাবে স্নাতকদের দক্ষ করে তোলা যেন তারা কর্মক্ষেত্রে প্রথম দিন থেকে পণ্য বিক্রয় বা বাজারজাত করতে পারে। এক্ষেত্রে তিনি ইন্ডাস্ট্রি ও অ্যাকাডেমির সমন্বিত উদ্যোগের অপরিহার্যতার কথা উল্লেখ করে বলেন, কর্মক্ষেত্রে যারা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন তাদেরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করা উচিত। তা না হলে অ্যাকাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সংযোগ তৈরি হবে না।

উপাচার্য মহোদয় আরও বলেন, নতুন ধারণা সৃষ্টি ও উদ্ভাবন মার্কেটিংয়ের জন্য অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে কেবল সরকারি সহযোগিতার ওপর নির্ভর না করে ইন্ডাস্ট্রিগুলোর এগিয়ে আসতে হবে। উপাচার্য মহোদয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সহযোগিতা করলে নিশ্চিতভাবেই এর সুফল পাবেন।

দেশের অভ্যন্তরে ও বহির্বিশ্বের সঙ্গে রিসোর্স শেয়ারিংয়ের প্ল্যাটফরম তৈরির জন্য তিনি এমআইবি’র উদ্যোগ কামনা করেন। উল্লেখ্য, মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশের (এমআইবি) উদ্যোগে ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর দেশব্যাপী ৫ম মার্কেটিং-ডে উদযাপিত হয়েছে। মার্কেটিং পেশাজীবীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোক্তাদের সর্বাধিক সন্তুষ্টি প্রদানের লক্ষ্যে মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ২০১৮ সাল থেকে দিবসটি উদযাপন করে আসছে।